হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রীসেবার দেবার সক্ষমতা বছরে ৮০ লাখ। অথচ ২০২৩ সালে বিমানবন্দরটি ১ কোটি ১৭ লাখ যাত্রীকে সেবা দিয়েছে। আর ফ্লাইট পরিচালনা করেছে প্রায় ১ লাখ। বিনিময়ে আয়ও করেছে রেকর্ড ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর সেবা দেয়া এই বিপুল সংখ্যক যাত্রীর ৮৮ শতাংশকে লাগেজ ডেলিভারি দিচ্ছে ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টার মধ্যেই। অনেক সময় এমনও দেখা যায়, যাত্রী এসে পৌছায়নি অথচ লাগেজ বেল্টে হাজির!
লাগেজ বহনের সুবিধার্থে বিমানবন্দরে বাড়ানো হয়েছে ট্রলির সংখ্যাও। নতুন সংযোজনের পর ট্রলির সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৬০০ টিতে দাঁড়িয়েছে। ক্যানোপি থেকে বের হয়ে বহুতল পার্কিং ও রাস্তার আগ পর্যন্ত ট্রলি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাতে ভোগান্তিও কমেছে যাত্রীদের।
এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের জন্য এক ঘণ্টা ফ্রি ওয়াইফাই সেবা এবং ফ্রি ফোন কলিং সেবা রাখা হয়েছে। বিমানবন্দরে পৌঁছে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের ঝক্কি কমাতে চালু হয়েছে ১০টি টেলিফোন বুথ। এতে যে কোনো প্রবাসী দেশে নেমেই বিনামূল্যে তার পরিবারকে ফোন দিতে পারছেন।
বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমন এলাকায় যাত্রীদের তথ্য ও দিকনির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে নতুন করে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে আগমনী এলাকায় দুটি এবং বহির্গমন এলাকায় তিনটি হেল্প ডেস্কে ৫৪ জন সহকর্মী ২৪ ঘণ্টা বিনা মূল্যে যাত্রীদের বিভিন্ন তথ্য ও দিকনির্দেশনা প্রদান করে যাত্রীসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
যাত্রী হয়রানি, লাগেজ কেটে চুরি, ইমিগ্রেশন পুলিশ, কাস্টমসসহ পদে পদে হয়রানি বন্ধেও লক্ষণীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইমিগ্রেশনে প্রবাসীরা পাচ্ছেন যোগ্য সন্মান। সেবার মান বাড়াতে চালু হয়েছে চার শিফটে ডিউটি।
যাত্রীদের যে কোনো তথ্য ও অভিযোগ জানানোর জন্য চালু হয়েছে হটলাইন নম্বর। 13600 এই নম্বরে কল দিয়ে ২৪ ঘন্টা সেবা পাওয়া যাবে। জানানো যাবে মতামতও।
অথচ একটা সময়ে ভোগান্তির শেষ ছিলোনা দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরে। বিশ্বের যে প্রান্ত থেকে এসে ঢাকার এই বিমানবন্দরে নেমেই ভোগান্তিতে পড়তে হতো। সেই সাথে খারাপ ব্যবহার তো ছিলো নিত্য দিনের সঙ্গী। সেই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে খুশী প্রবাসীসহ সাধারণ যাত্রীরাও।
